এদিকে এলাকাবাসী রফিক মিয়া জানান, নুরন্নবী মিয়ার সমবয়সী ওই এলাকাতে আর কেউ বেঁচে নেই। তার চেয়ে বয়সে যারা ৩০-৪০ বছরের ছোট, তাদের অনেকের চোখেই চশমা। তাদের কেউ কেউ আবার পত্রিকা, বই পড়া তো দুরের কথা, চোখে চশমা দিয়েও চলাফেরা করতে পারেন না। অথচ এখনও তিনি চশমা ছাড়াই খালি চোখে পবিত্র কোরআন শরীফ পড়তে পারেন।
তিনি বলেন, যুবক বয়সে যেসব খাবার খেয়েছি, তার সবই ছিল ভেজালমুক্ত। নিজেদের বাড়ির গরুর দুধ, ডিম, খেতের শাক-সবজি, পুকুরের মাছ, সরিষার তেল, ঢেঁকি ছাটা চালের ভাত কত স্বাদ ছিল। সব খাবার ছিল একদম নির্ভেজাল। আর এখন সবই ভেজাল।
এদিকে নুরন্নবী মিয়ার ছয় ছেলে ও চার মেয়ে। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার জন্ম ১৯১০ সালের ২১ নভেম্বর। তবে স্থানীয়দের অনেকেই বলছেন, নুরন্নবী মিয়ার বয়স ১১৫-১২০ বছর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যদিও বয়স নিয়ে নুরন্নবী নিজে কোনো মন্তব্য করেননি।